Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

ফল আমদানি-রপ্তানিতে ফাইটোস্যানিটারি কার্যক্রম

ড. মোহাম্মদ আলী১ ও মোঃ আহছানউল্যা২
চযুঃড় শব্দের অর্থ হচ্ছে উদ্ভিদ এবং ংধহরঃধৎু শব্দের অর্থ  হচ্ছে স্বাস্থ্য, অর্থাৎ চযুঃড়ংধহরঃধৎু শব্দের অর্থ হচ্ছে উদ্ভিদের স্বাস্থ্য। আর উদ্ভিদ সংগনিরোধ বা চষধহঃ ছঁধৎধহঃরহব হচ্ছে- যার মাধ্যমে উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত পণ্যের সংগে বা মাধ্যমে পরিবাহিত হয়ে দেশে বা বিদেশি বালাই প্রবেশ করতে না পারে অর্থাৎ শুধুমাত্র স্বাস্থ্যসম্মত উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত পণ্য প্রবেশ করতে পারে। ফলে দেশের উদ্ভিদের স্বাস্থ্য ঠিক থাকবে এবং দেশে ফসল উৎপাদনের কোন ধরনের বিপর্যয় ঘটবে না।
সেই আদিকাল থেকে মানুষ তার প্রয়োজনে পৃথিবীর এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় গিয়ে বসতি স্থাপন করেছে। মানুষ যখন স্থানান্তরিত হয় তখন তার সাথে গরু ছাগল, হাঁস-মুরগি, ফল-মূল, বীজ, গাছপালা ইত্যাদি বহন করেছে ফলে পৃথিবীর এক এলাকার পোকামাকড়, রোগ-বালাই অন্য এলাকায় স্থানান্তরিত হয়েছে তবে তখনকার সময়ে রোগ-বালাই ও পোকামাকড়ের পরিমাণ কম থাকায় তখন ক্ষতির পরিমাণ ধর্তব্যের মধ্যে আসেনি আর দুর্বল যাতায়াত ব্যবস্থার কারণে এ সকল রোগ-বালাই-পোকা-মাকড়ও তেমন ভাবে বিস্তার লাভ করেনি। কিন্তু বর্তমানে যাতায়ত ব্যবস্থার প্রভ‚ত উন্নতির ফলে পৃথিবীর এক এলাকার পোকা-মাকড়, রোগ-বালাই আমদানি ও রপ্তানিকৃত পণ্যে ও মাধ্যমে বাহিত হয়ে অন্য এলাকায় বা দেশে দ্রæত ছড়িয়ে পড়ছে, যেমনÑ গমের বøাষ্ট রোগ ব্রাজিল বা দক্ষিণ আমেরিকার রোগ হলেও বাংলাদেশে ব্রাজিল থেকে গম আমদানিতে যথাযথ উদ্ভিদ সংগনিরোধ বা ফাইটোস্যানিটারি ব্যবস্থা না নেয়ার ফলে এ রোগ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে ২০১৬ সালে। বর্তমানে রোগটি দেশের প্রায় ২৬টি জেলায় বিস্তার লাভ করেছে বলে জানা যায়। তা ছাড়া বর্তমানে আগের তুলনায় গমের উৎপাদন কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। এদিকে ২০১৮ সালে ভুট্টার সব চেয়ে বিনষ্টকারী পোকা ফল আর্মিওয়ার্ম দেশে প্রবেশ করেছে যার ফলে ভবিষ্যতে যেমন ভুট্টা  উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পাবে ঠিক তেমনি উৎপাদন বৃদ্ধি করাও কষ্টকর হয়ে যাবে। অতীতে যে পোকাটিকে  শুধু আমরা ধানের ছাতরা পোকা হিসেবে জেনেছি বর্তমানে বলা চলে এমন কোন শস্য নাই যাতে ছাতরা পোকার আক্রমণ হয় না। অনিয়ন্ত্রিত আমদানি এবং জনগণের সচেতনার অভাবে বর্তমানে  মিলিবাগ বা ছাতরা পোকার বহু প্রজাতি দেশে প্রবেশ করেছে।
ইউরোপে ইঁনড়হরপ চষধমঁব বা ইষধপশ উবধঃয রোগ প্রবেশ প্রতিরোধ কল্পে ১৩৭৭ সালে আইনটি ছিল  ভ্রমণকারীরা বন্দরে প্রবেশের পূর্বে ৪০ দিন সমুদ্রে আলাদা থাকবে, যাতে কেউ রোগ বহন করে নিয়ে আসলেও তা ৪০ দিনের মধ্যে প্রকাশ পাবে এবং সে মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া যাবে। ফলে দেশে রোগটি প্রবেশ করতে পারবে না। এটিই ছিল ছঁধৎধহঃরহব, যা ইটালিয়ান শব্দ                ছঁধৎধহঃধ বা ঋড়ৎঃু থেকে উৎপত্তি লাভ করে। মানুষের এই ছঁধৎধহঃরহব ধারণাটি উদ্ভিদের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্যও শুরু হয় গমের ঝঃবস ৎঁংঃ প্রবেশ রোধকল্পে  ফ্রান্সে প্রথম ১৬৬০ সালে। পরবর্তীকালে বিভিন্ন দেশ আলাদা আলাদাভাবে  উদ্ভিদ স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য এই ধরনের আইন চালু করতে থাকে। তবে                 ১৮৪৫-১৮৫৪ সালে আইরিশ আলু এবং কাছাকাছি সময়ে ইউরোপে আঙুর উৎপাদন বিপর্যয়ের ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু এবং দেশান্তরী হওয়ার পর থেকে বিশ্বনেতারা উদ্ভিদ সংগনিরোধ আইন বা ফাইটোস্যানিটারি ব্যবস্থা-এর উপর জোর দিয়েছিলেন। ১৯৫১ সালে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য সংস্থা সৃষ্টির পরপরই এর অধীনে এক দেশ হতে অন্য দেশে বালাই প্রবেশ প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক উদ্ভিদ সংরক্ষণ সংস্থা বা ওচচঈ (ওহঃবৎহধঃরড়হধষ চষধহঃ চৎড়ঃবপঃরড়হ ঈড়হাবহঃরড়হ) এর সৃষ্টি করেন। তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরপরই যখন এবহবৎধষ অমৎববসবহঃ ড়হ ঞধৎরভভং ধহফ ঞৎধফব (এঅঞঞ) এর সৃষ্টি হয় তখন এর মূল উদ্দেশ্য ছিল আমদানি-রপ্তানিতে করারোপ বিষয়ে কিন্তু এঅঞঞ পুনরায় ডঞঙ (ডড়ৎষফ ঞৎধফব ঙৎমধহরুধঃরড়হ) তে রূপান্তর হওয়ার সময় এর ৮ম রাউন্ডের আলোচনায় ঝচঝ কে ডঞঙ এর সাথে জুড়ে দেন ফলে যখন ১৯৯৫ সালের ১ জানুয়ারি  ডঞঙ এর বাস্তবায়ন শুরু হলে বিশ্বব্যাপী উদ্ভিদ ও উদ্ভিদজাত পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ঞযব অমৎববসবহঃ ড়হ ঃযব অঢ়ঢ়ষরপধঃরড়হ ড়ভ ঝধহরঃধৎু ধহফ চযুঃড়ংধহরঃধৎু গবধংঁৎবং বা সংক্ষেপে ঝচঝ গবধংঁৎবং (যেখানে  ঝ= ঝধহরঃধৎু এবং চঝ = চযুঃড়ংধহরঃধৎু) এর কার্যক্রম শুরু হয়।
অর্থাৎ ওচচঈ, ডঞঙ এর ঝঃধহফধৎফ ঝবঃঃরহম বডি হিসেবে শুধু উদ্ভিদ ও উদ্ভিদজাত পণ্য আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে কি ধরনের এবং কিভাবে চযুঃড়ংধহরঃধৎু কার্যক্রম  গ্রহণ করতে হবে তা অনুসরণ করার জন্য সংস্থা হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে এবং বিশ্বের সকল দেশের সাথে ঐধৎসড়হরুব  করার জন্য কাজ করে, যাতে কোন দেশের বালাই পণ্যের মাধ্যমে পরিবাহিত হয়ে অন্য দেশে প্রবেশ করতে না পারে। ওচচঈ এ যাবৎ ৪৩টি স্ট্যান্ডার্ড বা ওঝচগং               (ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ঝঃধহফধৎফং ভড়ৎ চযুঃড়ংধহরঃধৎু গবধংঁৎবং) অফড়ঢ়ঃ  করেছে, যা অনুসরণ করে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনা করা সকল দেশের জন্য বাধ্যতামূলক।
বাংলাদেশের ফল আমদানি-রপ্তানির চিত্র তুলনা করলে দেখা যায় যে, ফল আমদানির পাল্লাই বেশি ভারি। বিগত ৫ বছরের ফল আমদানি ও রপ্তানির নি¤েœর চিত্রটিই আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিচ্ছে।
সূত্র : উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইং, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, ঢাকা।
উপরের চিত্রানুযায়ী আমাদের আমদানি ৫৩১৪৫৬ এর বিপরীতে রপ্তানি মাত্র ২৯৭৫ মে.টন।
ফল বলতে সাধারণত : তাজা, শুকনো এবং প্রসেস এবং ক্যানিং ফলকে বুঝানো হয়। ক্যানিং ফল ব্যতীত সকল প্রকার ফলের মাধ্যমেই পোকা-মাকড়, রোগ-বালাই বাহিত হয়ে এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় বিস্তার লাভ করতে পারে এ জন্য এই ধরনের সকল প্রকার ফলের জন্য উদ্ভিদ সংগনিরোধ বা ফাইটোস্যানিটারি কার্যক্রম গ্রহণ করতে হয়। এখানে উল্লেখযোগ্য যে, ফলের সকল প্রকার অবস্থার মধ্যে তাজা ফলই সবচেয়ে বেশি পরিমাণ             পোকা-মাকড়, রোগ-বালাই বহন করে।
নি¤েœ আমদানি ও রপ্তানিকৃত কতিপয় ফল কি কি ধরনের বালাই পরিবাহিত করে এবং কি কি ধরনের ফাইটোস্যানিটারি কার্যক্রম গ্রহণ করতে হয় তা সংক্ষেপে তুলে ধরার চেষ্টা করা হলোÑ
সাইট্রাল বা লেবুজাতীয় ফল : বাংলাদেশ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে কমলা জাতীয় ফল আমদানি করে। কিন্তু লেবু বা কমলা জাতীয় এই ফলে সকল দেশে একই ধরনের রোগ-বালাই ও পোকা-মাকড় থাকে না, যেমনÑ অস্ট্রেলিয়ার কমলাজাতীয় ফলে যে ধ্বংসাত্মক মাছি পোকা গবফরঃবৎৎধহবধহ ভৎঁরঃ ভষু বা ঈবৎধঃরঃরং পধঢ়রঃধঃধ রয়েছে তা বাংলাদেশে নাই। আবার আফ্রিকা অঞ্চলে রয়েছে অন্য প্রজাতির মাছি পোকা অহধংঃৎবঢ়যধ ংঢ়ঢ়.  এবং এঁরমহধৎফরধ পরঃৎরপধৎঢ়ধ বা ঈরঃৎঁং ইষধপশ ঝঢ়ড়ঃ রোগ যা বাংলাদেশে নাই বলে ধারণা করা হচ্ছে ফলে লেবু জাতীয় এ সকল ফল আমদানির জন্য ফাইটোস্যানিটারি কার্যক্রম হচ্ছেÑ ১. আমদানি অনুমতি পত্রের শর্তে থাকতে হবে রপ্তানিকারক দেশের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্তৃপক্ষ রপ্তানিকৃত ফলটি যেন চবংঃ ঋৎবব অৎবধ (চঋঅ) বা অৎবধ ড়ভ খড়ি চবংঃ চৎবাধষবহপব (অখচচ) থেকে সরবরাহ করে এবং রপ্তানির পূর্বে পণ্যটি ০০ঈক্ট  ১-২০ঈ তাপমাত্রায় রাখে বা জাহাজের কনটেইনারে ঐ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। রপ্তানিকারক দেশ বিষয়টি স্পষ্ট করে উদ্ভিদ স্বাস্থ্য সনদে উল্লেখ করবেন।
আমদানিকারক দেশের উদ্ভিদ সংগনিরোধ পরিদর্শক প্রথমেই পণ্যের কনটেইনারের তাপমাত্রার চেকলিস্ট দেখবেন এবং নোট করবেন এর পর কনটেইনার খুলে আইএসপিএম-৩১ মতে স্যাম্পল গ্রহণ করবেন এবং ফলগুলো ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন, রোগ বা পোকার আক্রমণের কোন নমুনা পাওয়া যায় কিনা এবং পরবর্তীতে ফলগুলো কেটে কেটে দেখবেন পোকার কোন কীড়া বা পোকা থাকার কোন নমুনা রয়েছে কিনা তারপর পরিদর্শক নিশ্চিত হয়ে পণ্যটি ছাড়পত্র প্রদানের বা কনসাইনমেন্ট ফেরত পাঠানো বা ধ্বংস করার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ব্যবস্থা নেবেন।
এবার লেবু জাতীয় ফল রপ্তানি বিষয়ে বলতে হয় এক সময় বাংলাদেশ থেকে জারা লেবু, আদালেবু, জামির, কাগজিলেবু, বীজশূন্য লেবু  রপ্তানি করা হত। বর্তমানে  শুধু জারা লেবুই রপ্তানি করা যায়, লেবুর মারাত্মক ক্যাংকার রোগের কারণে অন্য জাতের লেবু রপ্তানি করা যাচ্ছে না। জারা লেবু কিছুটা ক্যাংকার সহিষ্ণু এবং কোন কোন এলাকায় নতুন নতুন বাগান হওয়াতে এটি এখনও রপ্তানি করা যাচ্ছে। বাংলাদেশ অদ্যাবধি লেবুর চবংঃ ঋৎবব অৎবধ (চঋঅ) বা অৎবধ ড়ভ খড়ি চবংঃ চৎবাধষবহপব (অখচচ) তৈরির বা ঘোষণা দেয়ার চেষ্টা করে নাই এমনকি এ বিষয়ে বড় ধরনের কোন গবেষণাপত্রও পাওয়া যায় না। ফলে লেবুর ক্যাংকার চঋঅ বা অখচচ অনুসরণ বা বাস্তবায়ন সাপেক্ষে আমরা জারা লেবু ব্যতীত অন্য লেবু ইউরোপে রপ্তানি করতে সক্ষম হবো।
আম : বিশ্বে ৯০টির বেশি দেশ আম উৎপাদন করে এবং বিশ্বে আম উৎপাদনে শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অবস্থান করলেও রপ্তানির শীর্ষ ২০ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ নেই। কারণ আমদানিকারক দেশের চযুঃড়ংধহরঃধৎু ওসঢ়ড়ৎঃ জবয়ঁরৎবসবহঃং হচ্ছে ফলের মাছি পোকা ইধপঃড়পবৎধ ফড়ংধষরং, ঝঃড়হব  ডববারষ এবং চঁষঢ় ডববারষ এবং রোগ অহঃযধপহড়ংব মুক্ত আম। বর্তমানে বাংলাদেশে সীমিত পর্যায়ে এই আমদানি শর্ত পূরণের চেষ্টা চলছে কিন্তু কোন সমন্বিত উদ্যোগ না থাকায় এর অগ্রগতি কমই বলা চলে। আজ পর্যন্ত বাংলাদেশ কোন বছরে ১০০০ মে. টন আম রপ্তানি করতে পারেনি শুধুমাত্র চযুঃড়ংধহরঃধৎু ওসঢ়ড়ৎঃ               জবয়ঁরৎবসবহঃং পূরণ করতে না পারার কারণে। অথচ পূরণ করতে পারলে বছরে ২০,০০০ মে.টন আম রপ্তানি করা সম্ভব।
লেবু জাতীয় ফল আমদানিতে যে সমস্যা বিদ্যমান আম আমদানিতেও একই সমস্যা বিদ্যমান অর্থাৎ বালাই একই তবে এখানে ট্রিটমেন্ট ভিন্ন। আমদানি অনুমতি পত্রে মূলত ফলের মাছি পোকা মুক্ত এলাকা অথবা কম মাছি যুক্ত এলাকা থেকে আম সংগ্রহ এবং ট্রিটমেন্ট হিসেবে হট ওয়াটার ট্রিটমেন্ট বা ভ্যাপর হিট ট্রিটমেন্ট উল্লেখ থাকতে হবে এবং পণ্যের ছাড় পত্র প্রদান পদ্ধতি লেবু জাতীয় ফলের ছাড়পত্র পদ্ধতি প্রদানের মতো।
পেয়ার, কুল/বরই : পেয়ার এবং কুল বা বরই রপ্তানি এবং আমদানিতে মূল সমস্যা ফলের মাছি পোকা তবে এর সাথে           মিলিবাগ বা ছাতরা পোকার উপস্থিতি একটি বড় বিষয়। মাছি পোকা দমন করতে না পারায় বর্তমানে ইউরোপে কুল রপ্তানি বন্ধ।
রাম্বুতান, ড্রাগন ফ্রুট, পেঁপে ইত্যাদি : রাম্বুতান, ড্রাগন ফ্রুট এবং পেঁপে ইত্যাদি ফলের মাধ্যমেই জায়ান্ট মিলিবাগ ব্যতীত অন্যান্য জাতের মিলিবাগ বা ছাতরা পোকা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এ জাতীয় ফল আমদানিতে মিলিবাগ, থ্রিপ্স মুক্ত করে পাঠাতে হবে মর্মে শর্ত দিতে হবে এবং আমদানিকৃত পণ্য যথাযথভাবে ইনসপেকশন করে ছাড়পত্র প্রদানের ব্যবস্থা নিতে হবে। পণ্যে এ সকল পোকার উপস্থিতি থাকলে এবং দেশে মুক্ত করা না গেলে কনসাইনমেন্ট ধ্বংস করতে হবে বা ফেরৎ পাঠানোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
কাঁঠাল : কাঁঠাল রপ্তানিতে এখনও জোরালো কোন সমস্যা আসেনি। তবে বর্তমানে কাঁঠাল গাছে মিলিবাগের আক্রমণ যে কোন সময়ে ফলটি রপ্তানি সমস্যায় ফেলতে পারে। কাঁঠালের আরেকটি সমস্যা ফলের মাছি পোকা যদিও এ পর্যন্ত এর একবার মাত্র ইন্টারসেপশন হয়েছে। এ ফলের আরেকটি সমস্যা রয়েছে ফল রপ্তানিতে ফলটির কোন ইউনিফরমিটির ব্যবস্থা করা যায় না, যা অন্য দেশ করে থাকে। বর্তমানে কাঁঠাল ফলটি ধুয়ে এবং যথাযথভাবে  পর্যবেক্ষণ করে রপ্তানি করা হচ্ছে।
আপেল : বাংলাদেশে আপেল উৎপাদন হয় না, অতএব আপেল বাংলাদেশে আমদানি করতে হয়। আপেল আমদানিতে মূল সমস্যা হচ্ছে আপেলে মোট তিন ধরনের বালাই হয়ে থাকে তার মধ্যে ২টি পোকা এবং একটি রোগ। পোকা ২টি হচ্ছে- ফলের মাছি পোকা ও কডলিং মথ এবং রোগ হচ্ছে আপেলের ফায়ার বøাইট।
ফলের যে মাছি পোকা তা হচ্ছে বাংলাদেশে বর্তমানে উপস্থিত মাছি পোকা থেকে ভিন্ন জাতের, অতএব ফলের মাছি পোকা যাতে প্রবেশ করতে না পারে তার ব্যবস্থা নেয়া উচিত। কডলিং মথ এবং ফায়ার বøাইট বাংলাদেশে উপস্থিত আছে বলে কোন প্রমাণ নাই এবং গবেষণাপত্রও নাই তবে এর হোস্ট প্ল্যান্ট বাংলাদেশে উপস্থিত থাকায় এ ধরনের বালাই থেকে সতর্ক থাকতে হবে।
ঝচঝ গবধংঁৎবং এবং ওচচঈ এর  নির্দেশনা অনুসরণ করে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারলে ধীরে ধীরে আমাদের আমদানির পরিমাণ বাড়তে থাকবে এবং বহিঃ বিশ্বে বাজার এক সময় রপ্তানি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তবে মার্কেট একসেস ধরে রাখাসহ বাজার সৃষ্টিতে এবং বৃদ্ধিতে জরুরি ভিত্তিতে চঈঊ (চযুঃড়ংধহরঃধৎু ঈধঢ়ধপরঃু ঊাধষঁধঃরড়হ) বাস্তবায়ন করতে হবে। য়

১প্রকল্প পরিচালক, বাংলাদেশে ফাইটোস্যানিটারি সামর্থ্য শক্তিশালীকরণ প্রকল্প, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, ঢাকা। ২অতিরিক্ত পরিচালক (এল আর), ফল আমদানি-রপ্তানিতে ফাইটোস্যানিটারি কার্যক্রম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, ঢাকা। মোবাইল : ০১৭১১৭০১৪৯৬, ই-মেইল :  m.alidau87@yahoo.com


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon